চা-বাগানের মানুষের জন্য কাজ করতে চান জন বারলা ৷ তৃণমূলের যোগদানের পর শনিবার জলপাইগুড়ি জেলায় ফিরে এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা ৷ জলপাইগুড়ি জেলার লক্ষ্মীপাড়া চা-বাগানের বাসিন্দা জন বারলাকে স্বাগত জানালেন তৃণমূলেপর রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক ৷ তবে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের কোনও নেতাকে এদিন দেখা যায়নি ৷
এদিন মালবাজারে জন বারলাকে স্বাগত জানান প্রকাশ চিক বড়াইক ৷ তারপর তাঁকে বানারহাটের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে নিয়ে আসা হয় ৷ জলপাইগুড়িতে ফিরে জন বারলা বলেন, “দিদি যেভাবে চা-বাগানের জন্য কাজ করছেন, সেই কাজকে আরও তরান্বিত করতে চাই ৷ দিদির উন্নয়নের সঙ্গী হয়ে আমরা কাজ করব ৷ বিজেপিতে থেকে আমি কোনও কাজ করতে পারিনি ৷ এবার তৃণমূল কংগ্রেসের আসার পর দিদির সঙ্গে কথা বলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কাজ করব ৷ চা-বাগানের মানুষের জন্য কাজ করব ৷”
জন বারলার তৃণমূলে যোগদান জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব কতটা মেনে নিতে পেরেছে, তা সময় বলবে ৷ তবে, রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, “প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন ৷ তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর আশাকরি আমাদের চা-বলয়ের মাটি আরও শক্ত হবে ৷ আমরা আজ জন বারলাকে স্বাগত জানাতে মালবাজারে এসেছি ৷ আলিপুরদুয়ার থেকে আমি এসেছি মালবাজারে ৷”
এরপর জেলায় গেরুয়া শিবিরে আরও ভাঙনের বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ ৷ তিনি বলেন, “বিজেপিতে অনেক ভাঙন ধরবে ৷ আমরা লোকসভায় হেরেছি ৷ কিন্তু, মাদারিহাট বীরপাড়ার উপনির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি ৷ 2026 সালে আলিপুরদুয়ারে সবক’টি আসনেই জয়ী হব বলে আশাবাদী আমরা ৷”
উল্লেখ্য, 2024 সালে আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে বিজেপি জন বারলাকে টিকিট দেয়নি ৷ টিকিট না-পেয়ে দলবিরোধী নানা মন্তব্য এবং মনোজ টিগ্গাকে নিশানা করে একাধিক কথা বলেন জন ৷ সেই সময় তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে পায়নি বিজেপি ৷ পরবর্তী সময়ে মনোজ টিগ্গা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন ৷ সেই সময় থেকে জন বারলা নিজেকে কার্যত আড়াল করে নেন ৷
এপ্রিল মাসে আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয় জন বারলাকে ৷ তিনি সেই সভায় যোগও দেন ৷ তারপর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় ৷ বিশেষত, বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে জন বারলাকে আর দেখা যাচ্ছিল না ৷ ক্রমে পদ্মশিবিরে কোণঠাসা হয়ে পড়া জন বারলা শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷