প্রথম সেট দেখে মনে হচ্ছিল, বাকি ম্যাচেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তা হতে দিলেন না কার্লোস আলকারাজ়। রোমে ইটালিয়ান ওপেনের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ইয়ানিক সিনারকে হারিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে ফরাসি ওপেনের নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে নিলেন।
পরের মাসে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে হয়তো এই দুই খেলোয়াড়কেই দেখা যাবে। তার আগে আলকারাজ়ের দাপট দেখে অনেকেই মনে করছেন, আরও একটা ফরাসি ওপেন তাঁর হাতে উঠতে চলেছে। রবিবার রোমে আলকারাজ় জিতলেন ৭-৬, ৬-১ গেমে। সুরকির কোর্টে প্রথম দশে থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আলকারাজ় এগিয়ে ৭-১ ব্যবধানে।
টানা ২৬টি ম্যাচ জেতার নজির ভাঙল সিনারের। ডোপিং করে দু’মাস নির্বাসিত থাকার পর এই প্রথম কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমেছিলেন সিনার। বিশ্বের ছ’নম্বর ক্যাসপার রুডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন। অন্য দিকে, আলকারাজ় হারিয়েছেন বিশ্বের পাঁচ নম্বর জ্যাক ড্রেপার এবং আট নম্বর লোরেঞ্জো মুসেত্তিকে।
প্রথম সেটে দু’বার সেট পয়েন্ট বাঁচিয়ে টাইব্রেকে জেতেন আলকারাজ়। দ্বিতীয় সেটের প্রথম গেমে সিনারের কাছে ‘ব্রেক’ করার সুযোগ থাকলেও কাজে লাগাতে পারেননি। আলকারাজ় ১-০ এগিয়ে যান। দ্বিতীয় গেমে সিনারকেই ব্রেক করে ২-০ এগিয়ে যান। তার পর আর থামানো যায়নি।
৫-১ এগিয়ে থেকে সার্ভ করার সময় আলকারাজ় দু’টি ম্যাচ পয়েন্ট হারান। তৃতীয় বারে সফল হন। দেশের মাটিতে স্থানীয়দের সমর্থনও তাতাতে পারেনি সিনারকে। প্রথম সেট এক ঘণ্টার উপর চলে। দ্বিতীয় সেটে ৪০ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। এই নিয়ে সপ্তম মাস্টার্স খেতাব জিতলেন আলকারাজ়।
ম্যাচের পর তিনি বলেন, “প্রথম বার রোমে ট্রফি জিততে পেরে খুশি। তবে এটাই শেষ নয়। তবে ইয়ানিকের প্রশংসা করব। আবার পুরনো ফর্মে ফিরে এসেছে ও। তিন মাস টেনিসের বাইরে থাকার পর ফিরে আসা সহজ কাজ নয়। সেখানে ও প্রথম প্রতিযোগিতাতেই ফাইনালে উঠেছে।”
আলকারাজ়ের সংযোজন, “আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। মানসিক ভাবে যে ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তা কাজে লেগেছে। প্রথম থেকে শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত আমার কৌশল কাজে লেগেছে। গোটা ম্যাচে একই ছন্দ বজায় রাখতে পেরেছি।”