আবহাওয়াআইপিএল-2025টাকা পয়সাপশ্চিমবঙ্গভারতব্যবসাচাকরিরাশিফলস্বাস্থ্যপ্রযুক্তিলাইফস্টাইলশেয়ার বাজারমিউচুয়াল ফান্ডআধ্যাত্মিকঅন্যান্য
---Advertisement---

প্রিয়জনের স্মৃতিতে বুঁদ স্বস্তিকা, কার উদ্দেশ্যে লিখলেন, ‘তোমার ফোন আর এল না…’

Published on: May 18, 2025
---Advertisement---

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এদিন তাঁর অন্যতম কাছের মানুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মন খারাপ করা পোস্ট করলেন। জানালেন যে ফোনের প্রত্যাশা তিনি গত ১০ বছর ধরে করে আসছেন এই ফোন আর তাঁর কাছে আসে না। কার জন্য অভিনেত্রী লিখলেন সেই পোস্ট?

কী ঘটেছে?

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এদিন একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। সেখানে কিছু নাম দেখা যাচ্ছে। পছন্দের তালিকার প্রথম নামটাই তাঁর বাবার, সন্তু মুখোপাধ্যায়ের। সন্তু বলেই বাবার নম্বর সেভ করা অভিনেত্রীর ফোনে। আর তারপরই রয়েছে মাম্মি লেখা কন্ট্যাক্টটি। এই নম্বর থেকেই গত ১০ বছর তিনি কোনও ফোন পাননি। ১৭ মে অভিনেত্রীর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। এই বেদনাময় দিনটিতে তিনি মায়ের স্মৃতিতে বুঁদ।

এই স্ক্রিনশট পোস্ট করে এদিন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লেখেন, ‘১৭ মে, ২০২৫। ১০ বছর হয়ে গেল মা, তোমার ফোন আর এল না।’ অনেকেই এদিন অভিনেত্রীকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আমার মাও আমাকে কথায় কথায় ফোন করত। কিন্তু এখন আর আসে না আর আসবেও না। এভাবে স্মৃতিচারণ করেই বোধহয় কাটিয়ে দিতে হবে.… ‘ছোটো খোকা খাবার নিয়ে আসিস’ এ কথাটাই কানে বাজতে থাকে সবসময়।’ আরেকজন লেখেন, ‘এই ভাবেই প্রিয় মানুষগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। সাথে হারিয়ে যায় তাদের দেওয়া ডাক নামগুলো। মা,বাবা,ছোট মামা কারও নাম আর জ্বলে ওঠে না ফোনের স্ক্রিনে, সাথে আদুরে ডাক নামগুলোও আর বাজে না কানে। এ কষ্ট শুধু নিজের হয় একান্ত নিজের।’ তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘জগতের সমস্ত দুঃখ কষ্ট বেদনা থেকে আজ আপনার মা মুক্তি পেয়েছিলেন। তাঁর মুক্তির আনন্দকে নিজের হৃদয়ে অনুভব করুন। চিন্তা করুন মা মুক্ত।’ কারও মতে আবার, ‘রাতে আসে হয়তো, মাঝে মাঝে, ঘুমের ভেতর।’

প্রসঙ্গত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে দর্শকরা শেষবার দুর্গাপুর জংশন ছবিতে দেখেছেন। এই ছবিতে তিনি এক সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি স্বস্তিকা জানিয়েছেন দুর্গাপুর জংশন ছবিতে তিনি তাঁর মায়ের ছোঁয়া রেখেছেন। কীভাবে? সেটা ব্যাখ্যা করে অভিনেত্রী তাঁর এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার কেরিয়ারের শুরু টিভি দিয়ে। তারপর আস্তে আস্তে সিনেমায় পদার্পণ। সেই দেবদাসী সিরিয়াল থেকে মায়ের শাড়ি পরা শুরু। ২৫ বছর আগে স্টাইলিস্টের চল ছিল না। তখন মা-ই সবচেয়ে বড় স্টাইলিস্ট। সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের সবার জামাকাপড়, জুতো, মোজা, মানে চরিত্রের লুক অনুযাই যা লাগত সব আসত আমাদের বিভিন্ন ড্রেসারদের গোডাউন থেকে। এখনও হিরো হিরোইন ছাড়া সব তাদের কাছ থেকেই আসে। তারা না থাকলে কাজ লাটে উঠবে। যাই হোক, ড্রেসারদের স্টক খুবই ভালো হত কিন্তু আমার মায়ের স্টক অভিয়াসলি পৃথিবীর মধ্যে সেরা। বড় হওয়ার সঙ্গে নিজেরও সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে শাড়ি পরতে তাই মায়ের স্টকের সঙ্গে যোগ হতে লাগল আমারগুলোও। আমাদের দুই বোন এরই সাজগোজ সবই মায়ের থেকে শেখা। মা চলে যাওয়ার পর, মায়ের মতোই হতে হবে পুরোটা, এটা একটা জেদে পরিণত হল। আমাদের দু বোনের প্রায় একটা কম্পেটিশন চলে সারাক্ষণ কাকে বেশি মায়ের মতো লাগছে সেই নিয়ে।’ স্বস্তিকা এদিন পরিশেষে বলেন, ‘আরও একটা জিনিস হল মা চলে যেতে আমি আমার সব কাজে, সব চরিত্রে মায়ের কিছু না কিছু ছোঁয়া রাখা শুরু করলাম। মায়ের শাড়ি, শাঁখা-পলা, রুপো-ইমিটেশনের গয়না, যাকে আজকাল আমরা বলি কস্টিউম জুয়েলারি, কুরুশের পাড় বসানো পেটিকোট, পুরনো টিপের পাতারগুচ্ছ থেকে পাওয়া টিপ। চরিত্র অনুযায়ী যখন যেটা পারি আমার সঙ্গে মাও একটু কাজগুলোতে লেপ্টে রয়ে যাবে এই আশায়।’

সম্পর্কিত খবর

Dibyendu Hudati

আমি দিব্যেন্দু হুদাতি, পেশাগত ভাবে গত পাঁচ বছর ধরে সংবাদ ভিত্তিক কনটেন্ট রচনায় নিবেদিত । সহজ, নির্ভরযোগ্য ও তথ্যভিত্তিক লেখা পাঠকদের কাছ পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment