প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলেছে। তবে এর মধ্যেও গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হানা অব্যাহত। শনিবার রাত থেকে গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলায় অন্তত ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর। গাজ়ায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক অভিযোগ তুলেছে, নির্দিষ্ট ভাবে হাসপাতালগুলিকে বেছে বেছে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গত ১৯ মাস ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও বেশি। কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল এবং হামাস গোষ্ঠী। তবে প্রথম দফার ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চের গোড়ায় ফের গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। গত কয়েক দিন ধরে গাজ়ায় আক্রমণ আরও তীব্র করেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী।
অবশ্যই পড়ুন: কীভাবে ধীরে ধীরে অবনতি হল ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক?
সংবাদ সংস্থা ‘এপি’ অনুসারে, দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিস শহরে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনার হামলায় অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে অন্তত ১৮ শিশু এবং ১৩ মহিলা রয়েছেন। শনিবার রাতের হামলার বিষয়ে ইজ়রায়েলের তরফে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ইজ়রায়েলের দাবি, সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী নয়। হামাস গোষ্ঠীই বসতি এলাকা থেকে নিজেদের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে। সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটছে বলে দাবি ইজ়রায়েলের।
বস্তুত, শনিবারই হামাস নেতা তাহের আল-নোনো সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।’’ তাহের জানান, গাজ়ায় রক্তস্রোত বন্ধ করতে হামাস সর্বতো ভাবে মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তা করবে। যদিও গাজ়ায় ইজ়রায়েল সেনার হানাদারিত ছেদ পড়েনি এতটুকুও। ফলে শেষ পর্যন্ত তেল আভিভ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে যথেষ্টই। যদিও ইজ়রায়েলের তরফে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে এমন কোনও মন্তব্য সরকারি ভাবে করা হয়নি।