পাকিস্তানের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন একটা দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র কি সুরক্ষিত ? অপারেশন সিঁদুর স্থগিত হওয়ার পাঁচদিন পর জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷
বৃহস্পতিবার তিনি উপত্যকায় পৌঁছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ৷ শ্রীনগরে বাদামি বাগ ক্যানটনমেন্টে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে কথাও বলেন মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য ৷
এদিন বাহিনীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, “অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে ৷ পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের আমরা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছি, বিশ্বের কোনও জায়গাতেই তারা সুরক্ষিত নয় ৷ আমি সারা বিশ্বকে বলতে চাই, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ব্ল্যাকমেলকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি আমাদের তরফে ৷ দুনিয়া জানে, কতবার পাকিস্তান ভারতকে এভাবে হুমকি দিয়েছে ৷ আজ শ্রীনগর থেকে আমি পুরো বিশ্বকে একটা প্রশ্ন করব, এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দুবৃত্ত দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র কি সত্যিই নিরাপদ ? আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের উপর নজরদারি চালাক ৷”
তিনি আরও বলেন, “গত 35-40 বছর ধরে ভারত সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ৷ আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কত দূর যেতে পারি সেটা আজ ভারত সারা বিশ্বকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ৷”
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে বিরতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে ৷ ঠিক হয়েছে, সীমান্তে কোনও অযাচিত কাজকর্ম হবে না ৷ এর অন্যথা হলে, জল অনেক দূর গড়াবে ৷ আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে হতে পারে না ৷ যদি কথা বলতে হয়, তাহলে সন্ত্রাস নিয়ে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে ৷”
অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য জানিয়ে দিয়েছে, জঙ্গি সংগঠন এবং তাদের প্রভুরা পাকিস্তানের যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, তারা যেন নিজেদের সুরক্ষিত বা নিরাপদ মনে না করে ৷ রাজনাথ সিং আরও বলেন, “এখন তারাই (জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা) ভারতীয় সেনার নিশানা ৷ বিশ্ব জানে, আমাদের বাহিনীর লক্ষ অভ্রান্ত ৷ “
ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড (আইএমএফ)-এর পাকিস্তানে ঋণ দেওয়ার কথাও উত্থাপন করেন রাজনাথ সিং ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান এখন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে তারা ভিক্ষা চাইতেও দ্বিধা বোধ করছে না ৷ বরং বলা যায়, পাকিস্তান যেখানে দাঁড়িয়ে থাকে সেখান থেকে ভিক্ষুকদের লাইন শুরু হয় ৷ সবাই জানে পাকিস্তান কীভাবে আইএমএফের কাছে গিয়ে ঋণ চেয়েছে ৷ অন্যদিকে আমাদের দেশ এখন সেই দেশের তালিকায়, যারা আইএমএফ-কে ঋণ দিতে পারে ৷ সেই অর্থ থেকে আইএমএফ গরিব দেশগুলিকে সাহায্য় করতে পারে ৷”